বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্যাটায়ার মানে কুৎসিত লেখা নয়: প্রধান বিচারপতি

  •    
  • ৭ মার্চ, ২০২১ ২০:৪২

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমেরিকায় তো মানুষ স্যাটায়ার করে, কিন্তু আমাদের এখানকার মতো কুৎসিতভাবে লেখে না। যেসব ভাষা লেখে, একজন শিক্ষিত মানুষ কীভাবে এসব ভাষা ব্যবহার করতে পারে? তাহলে শিক্ষার দাম কী হলো?’

‘দেশের মান-মর্যাদা সবার আগে’ মন্তব্য করে সবাইকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সতর্কভাবে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

তিনি বলেছেন, আমেরিকাতেও সমালোচনা করা হয়, কিন্তু আমাদের দেশে এত নগ্ন ভাষায় সমালোচনা করা হয়, যা সকলের সামনে উচ্চারণও করা যায় না। শিক্ষিত মানুষের ভাষা এমন হতে পারে না।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এক আসামির জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানিতে রোববার এসব মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।

মামলার অভিযোগ দেখে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমাদের এখানে যেসব ভাষা ব্যবহার করা হয়, তা কীভাবে একজন শিক্ষিত লোক লিখে থাকেন? তাহলে শিক্ষার দাম কোথায় রইল।’

বেশ কয়েকটি মামলায় এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করতে দেখেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে কটাক্ষ ও নেতিবাচক বিভিন্ন পোস্ট ও ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে পোস্ট ও শেয়ার করার অভিযোগে সিলেট থানায় গোলাম সারোয়ারের বিরুদ্ধে গত বছরের মার্চ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়।

এ মামলায় গত বছরের অক্টোবরে হাইকোর্ট রুল দিয়ে সারোয়ারকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে।

গত বছরের ১৮ অক্টোবর চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়। রোববার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে।

শুনানিতে সারোয়ারের পক্ষের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান আদালতকে বলেন, ‘এক বছর ধরে কারাগারে আছেন সারোয়ার। এই মামলায় এখন পর্যন্ত অভিযোগপত্র দেয়া হয়নি। তার হৃদযন্ত্রে চারটি স্টেন্ট পরানো আছে, স্বাস্থ্যগত কারণে জামিন চাওয়া হয়েছে।’

তখন আদালত বলে, ‘এত স্টেন্ট থাকার পরেও আপনি এসব করেন?’

তখন আসাদুজ্জামান বলেন, সারোয়ার গত ১৪ মার্চ থেকে কারাগারে আছেন। প্রায় এক বছর ধরে বিনা বিচারে কারাগারে আছেন। অভিযোগপত্র হয়নি এখনও। হাইকোর্ট মূলত মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে জামিন দিয়েছে।

তখন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ভবিষ্যতে এগুলো করলে আর জামিন হবে না। যতই কথা বলুক। এসব বাড়াবাড়ি করে দেশের ইমেজ যদি নষ্ট করেন, দেশের ইমেজ (মর্যাদা) সবার আগে।’

আইনজীবী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘হাইকোর্ট জামিন দিলেও গত ১৮ অক্টোবর চেম্বার আদালত থেকে স্থগিতাদেশ (জামিন স্থগিত) দেয়া হয়। তারপর পাঁচ মাস হয়ে গেছে।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনি সতর্ক করবেন। আমেরিকায় তো মানুষ স্যাটায়ার করে, কিন্তু আমাদের এখানকার মতো কুৎসিতভাবে লেখে না। যেসব ভাষা লেখে, একজন শিক্ষিত মানুষ কীভাবে এসব ভাষা ব্যবহার করতে পারে? তাহলে শিক্ষার দাম কী হলো?’

এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, ‘শব্দচয়নগুলো খুবই কুৎসিত। শব্দচয়ন এমন সবার সামনে বলাও মুশকিল।’

পরে মামলায় সারোয়ারকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখে আপিল বিভাগ। এর ফলে সারোয়ারের কারামুক্তিতে আইনগত বাধা আর নেই বলে জানান তার আইনজীবী।

এ বিভাগের আরো খবর